আগামী বছর হজে গমনের জন্য প্রাক-নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর। এই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, হজে গমনের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকবে।
এরআগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয় আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের চলতি মাসের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। যেখানে বলা হয়েছে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৩২০ জন প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৬০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬০ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।
হজ অফিস জানিয়েছে, করোনার কারণে এবার হজে যেতে না পারা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা টাকা ফেরত নেননি তারা আগামী বছর হজ পালনে অগ্রাধিকার পাবেন। যারা টাকা ফেরত নিয়েছেন তাদের হজে যেতে হলে আবার প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা করতে হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চলতি বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার কোটা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে হজ পালিত হয়। সৌদি আরবে থাকা মুসল্লি ছাড়া অন্য কোনো দেশের মুসল্লিরা হজ পালনের সুযোগ পাননি।